বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার এখন জনবিরোধী আচরণ করছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) তিনি এ মন্তব্য করেন।
উমামা ফাতেমা বলেন, “একটি অভ্যুত্থান একশ্রেণির মানুষকে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে দেয়, অথচ অন্য শ্রেণির মানুষের জন্য কোনো স্থান রাখে না।” ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতার অভাবের প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্তমান সরকার এই সমস্যাগুলোকে আমলে নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিধ্বংসী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কথা বললেই তা উপেক্ষা করা হতো। দুঃখজনক হলো, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও একই আচরণ করছে।”
ঢাকার পরিবেশ ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা
উমামা অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে ঢাকাকে একটি ডাস্টবিনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। “এখন শহরকে বাসযোগ্য করার পরিকল্পনার সময় এসেছে। কিন্তু সরকার শুধুমাত্র গায়েবি কথাবার্তা ও মুজিববাদিতার মাধ্যমে অভ্যুত্থানকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের শুরু করা অপ্রয়োজনীয় মেগাপ্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার পরিবর্তে বর্তমান সরকার সেগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়েছে।
আন্দোলনের ঘোষণাপত্র
গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব বলেন, বিগত সরকার এলাকাবাসীর মতামত উপেক্ষা করে ৪৫ প্রজাতির গাছ কেটেছে এবং খোলা জায়গাগুলো নষ্ট করেছে। তিনি ঘোষণা দেন, “সরকার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা পান্থকুঞ্জ থেকে সরব না।”
এ আন্দোলন শুধু গাছ রক্ষার দাবি নয়, এটি ঢাকার পরিবেশ, বাসযোগ্যতা, এবং নাগরিক অধিকার রক্ষারও একটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।