০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চূড়ান্ত অবসরে তামিম ইকবাল

  • রিপোর্টারে নাম:
  • আপডেটের সময় : ০২:১৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চূড়ান্তভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘোষণা দেন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা তামিম জানালেন, তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধ্যায় শেষ হয়েছে।

তামিমের ফেসবুক বার্তা

তামিম ইকবাল লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার আলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।”

তিনি আরও বলেন, “অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।”

সংগ্রহীত

২০২৩ সালের জুলাইতে তামিম প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে একদিনের মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপর যদিও তিনি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন, কিন্তু চোট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে মাঠে আর ফিরতে পারেননি। বিশ্বকাপের দল থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর আলোচনা শুরু হলেও তামিম নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলেন।

তামিম জানান, “নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবে আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।”

ভক্তদের ভালোবাসার কথা স্মরণ করে তামিম বলেন, “যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত।”

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান। দেশের হয়ে তিনি ৭৮টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তার নামের পাশে রয়েছে ওয়ানডেতে ৮ হাজারের বেশি রান, যা তাকে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। টেস্টেও তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের একজন।

শেষ কথায়

তামিম ইকবালের অবসর বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। ভক্তদের মনে তার খেলার জন্য যেমন স্মৃতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ। নতুন প্রজন্মের জন্য তামিম ইকবাল থাকবেন এক অনুপ্রেরণার নাম।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনর ই-মেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লেখক সম্পকে তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রৌমারীতে বিজিবির অভিযানে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চূড়ান্ত অবসরে তামিম ইকবাল

আপডেটের সময় : ০২:১৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চূড়ান্তভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘোষণা দেন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা তামিম জানালেন, তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধ্যায় শেষ হয়েছে।

তামিমের ফেসবুক বার্তা

তামিম ইকবাল লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার আলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।”

তিনি আরও বলেন, “অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।”

সংগ্রহীত

২০২৩ সালের জুলাইতে তামিম প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে একদিনের মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপর যদিও তিনি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন, কিন্তু চোট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে মাঠে আর ফিরতে পারেননি। বিশ্বকাপের দল থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর আলোচনা শুরু হলেও তামিম নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলেন।

তামিম জানান, “নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবে আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।”

ভক্তদের ভালোবাসার কথা স্মরণ করে তামিম বলেন, “যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত।”

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান। দেশের হয়ে তিনি ৭৮টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তার নামের পাশে রয়েছে ওয়ানডেতে ৮ হাজারের বেশি রান, যা তাকে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। টেস্টেও তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের একজন।

শেষ কথায়

তামিম ইকবালের অবসর বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। ভক্তদের মনে তার খেলার জন্য যেমন স্মৃতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ। নতুন প্রজন্মের জন্য তামিম ইকবাল থাকবেন এক অনুপ্রেরণার নাম।