০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

একাত্তরে আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন: জামায়াতকে রিজভী

  • রিপোর্টারে নাম:
  • আপডেটের সময় : ০২:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল আমি দেখলাম, এটি আমাকে বিস্মিত করেছে যে দেশপ্রেমী তারা আর সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক নিঃসন্দেহে। কারণ, তাদের পূর্বসূরিরা এই বাংলাদেশ নির্মাণে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে, তারাই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। দেখেছি জনগণ যখন অত্যাচারিত হয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের পক্ষ নিয়েছে। এমনকি ২৪ এর যে গণ-অভ্যুত্থান, সেখানেও একটি উচ্ছল ভূমিকা রেখেছে। আমি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ইসলামপন্থী সেই রাজনৈতিক দল যে আপনাদের একাত্তরের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, আপনারা কোনো সেক্টর কমান্ডারের আন্ডারে যুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ কেউ দেশপ্রেমিক নেই? শুধু একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক? এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে মানুষ হাসবে। মানুষ হাসি ছাড়া আর কিছু দেবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে আমরা বিএনপি পরিবারে উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে নিরাপদ করার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য, ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন, এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে দ্বিতীয়বার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ন্যায় শেখ হাসিনা। সিলেটের এম ইলিয়াস আলী আজ নাই শেখ হাসিনার কারণে। কারণ, তিনি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি টিপাইমুখ বাঁধে লংমার্চ করে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। মানুষ বলে তাকে এই কারণে নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে অসুস্থ করা হয়েছে, তিনি গ্রেপ্তারের আগে চোখে অপারেশন করে এসেছিলেন। যে রুমটিতে রাখা হয়েছে, সেটি একটি ২০০ বছরের পুরোনো একটি বিল্ডিংয়ের পুরোনো একটি রুমের মধ্যে, চারদিকে বালি আর ধোঁয়া উড়ে। যার চোখে অপারেশন হয়েছে, তাঁকে ওই রুমটি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি আরও অসুস্থ হন এই কারণে। তারপরও বিএনপি দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে কখনোই পিছপা হয়নি।’

 

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনর ই-মেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লেখক সম্পকে তথ্য

রৌমারীতে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন

বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৫ বছর: বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে শহীদ বীরদের প্রতি রৌমারীর গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আহতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

আজ বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

একাত্তরে আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন: জামায়াতকে রিজভী

আপডেটের সময় : ০২:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল আমি দেখলাম, এটি আমাকে বিস্মিত করেছে যে দেশপ্রেমী তারা আর সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক নিঃসন্দেহে। কারণ, তাদের পূর্বসূরিরা এই বাংলাদেশ নির্মাণে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে, তারাই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। দেখেছি জনগণ যখন অত্যাচারিত হয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের পক্ষ নিয়েছে। এমনকি ২৪ এর যে গণ-অভ্যুত্থান, সেখানেও একটি উচ্ছল ভূমিকা রেখেছে। আমি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ইসলামপন্থী সেই রাজনৈতিক দল যে আপনাদের একাত্তরের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, আপনারা কোনো সেক্টর কমান্ডারের আন্ডারে যুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ কেউ দেশপ্রেমিক নেই? শুধু একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক? এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে মানুষ হাসবে। মানুষ হাসি ছাড়া আর কিছু দেবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে আমরা বিএনপি পরিবারে উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে নিরাপদ করার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য, ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন, এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে দ্বিতীয়বার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ন্যায় শেখ হাসিনা। সিলেটের এম ইলিয়াস আলী আজ নাই শেখ হাসিনার কারণে। কারণ, তিনি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি টিপাইমুখ বাঁধে লংমার্চ করে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। মানুষ বলে তাকে এই কারণে নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে অসুস্থ করা হয়েছে, তিনি গ্রেপ্তারের আগে চোখে অপারেশন করে এসেছিলেন। যে রুমটিতে রাখা হয়েছে, সেটি একটি ২০০ বছরের পুরোনো একটি বিল্ডিংয়ের পুরোনো একটি রুমের মধ্যে, চারদিকে বালি আর ধোঁয়া উড়ে। যার চোখে অপারেশন হয়েছে, তাঁকে ওই রুমটি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি আরও অসুস্থ হন এই কারণে। তারপরও বিএনপি দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে কখনোই পিছপা হয়নি।’