বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বাফুফে প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়াল গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সরাসরি যুক্ত হয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেছেন।
তাবিথ আউয়াল জানান, হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়া সরাসরি হাসপাতালে যান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন হয়, যা অত্যন্ত মধুর ও আবেগপূর্ণ ছিল। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাবিথ আরও বলেন, “তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে এবং আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার পর বুধবার সকালে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সেখানে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মা খালেদা জিয়া যখন হুইল চেয়ারে করে ছেলের কাছে পৌঁছান, তখন তাদের জড়িয়ে ধরার মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত আবেগময়।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান, যিনি ফুল দিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তার সুস্থতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।