০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে আলু চাষে লোকসান: স্ত্রী বাড়ি ছেড়েছেন, অসুস্থ দুই কৃষক হাসপাতালে।

  • রিপোর্টারে নাম:
  • আপডেটের সময় : ০১:০২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের নামার চর এলাকায় আলু চাষে লোকসানের কারণে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে শুক্কুর আলী নামে এক কৃষকের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন, আর তুহিন মিয়া ও নুর জামাল নামে দুই কৃষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্কুর আলী ধারদেনা করে ২০ একর জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও মৌসুমের শুরুতেই দাম পড়ে যায়। এতে তার প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়। এ কারণে স্ত্রী সফুরা বেগম (৩৫) তিন সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি জামালপুরে চলে যান।


একই এলাকার তুহিন মিয়া ২০ একর জমিতে আলু চাষ করেন। বাজারে দাম কম থাকায় তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মানসিক চাপ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে নুর জামাল ১০ একর জমিতে চাষ করে প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসানের শিকার হন। তিনিও অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হোসেন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুন্নাহার সাথী জানান, “এবার সব জায়গায় আলুর ফলন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকের অসুস্থতার বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।”

এ সংকটের কারণে কৃষকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের ওপরও দারুণ প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনর ই-মেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লেখক সম্পকে তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রৌমারীতে বিজিবির অভিযানে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার

কুড়িগ্রামে আলু চাষে লোকসান: স্ত্রী বাড়ি ছেড়েছেন, অসুস্থ দুই কৃষক হাসপাতালে।

আপডেটের সময় : ০১:০২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের নামার চর এলাকায় আলু চাষে লোকসানের কারণে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে শুক্কুর আলী নামে এক কৃষকের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন, আর তুহিন মিয়া ও নুর জামাল নামে দুই কৃষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্কুর আলী ধারদেনা করে ২০ একর জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও মৌসুমের শুরুতেই দাম পড়ে যায়। এতে তার প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়। এ কারণে স্ত্রী সফুরা বেগম (৩৫) তিন সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি জামালপুরে চলে যান।


একই এলাকার তুহিন মিয়া ২০ একর জমিতে আলু চাষ করেন। বাজারে দাম কম থাকায় তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মানসিক চাপ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে নুর জামাল ১০ একর জমিতে চাষ করে প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসানের শিকার হন। তিনিও অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হোসেন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুন্নাহার সাথী জানান, “এবার সব জায়গায় আলুর ফলন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকের অসুস্থতার বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।”

এ সংকটের কারণে কৃষকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের ওপরও দারুণ প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।