
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছেন উপজেলার পাখিউড়া গ্রামের বাসিন্দা নওশাদ আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন দুলাল হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কার্যক্রম চালালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ব্যাপকভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার তিনটি ফলসি জমি ও একাধিক বসতবাড়ি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে যে কোনো সময় নদীভাঙনে এসব জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, “নদী থেকে যেভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে আমাদের কৃষিজমি ও বসতবাড়ি বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তারা ক্ষমতাশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”
তিনি আরও বলেন, “ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু বহনের পাইপ আমাদের ফলসি জমির ওপর জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে আমাদের অনেক ফসল নষ্ট হচ্ছে। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।”
অভিযোগ উঠেছে, এই অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে অর্থ আদায় করে থাকেন নওশাদ আলী। তিনি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসব অর্থ আদায় করেন বলে স্থানীয়রা জানান।
নওশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।